যশোরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে সামাজিক সচেতন সংস্থা সাসস। কম মূল্যে মাংস কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে যশোর ডিবি কার্যালয়ের সামনে সুলভ মূল্যে এ গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে এ সামাজিক সংগঠনটি।
যশোরে ডিবি কার্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে গিয়ে দেখা যায় ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। একদিন আগেও বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। এ চাপ খানিকটা কমানোর জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক সচেতন সংস্থা সাসস।
এখানে কিছুটা দাম কম হওয়ায় ক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিবারের জন্য মাংস ক্রয় করছেন। পূর্বের তুলনায় কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কম দামে কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। ভবিষ্যতেও এই দাম বহাল রাখার দাবি করেন তারা। তবে কম দামে নিজেদের ইচ্ছামতো মাংস নিতে পারছেন না ক্রেতারা। একজন সর্বনিম্ন আড়াই গ্রাম থেকে সর্বো”চ ২ কেজি মাংস নিতে পারছে এখান থেকে।
এ ছাড়াও রমজান উপলক্ষে সাসসের উদ্দ্যোগে প্রতিদিন সুলভ মূল্যে ডিম, লেবু, ডাব, বেগুন, শসা বিক্রয় হয়।
রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। এ চাপ খানিকটা কমানোর জন্য ও সবাইকে এমন নেওয়ার আহবান জানিয়ে এমন উদ্যোগ।
মাংস কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রোকোনুজ্জামান বলেন, বাজারে কেউ কিছু বলে না। এর আগে আমরা তো ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস খেয়েছি। এখনে বাজার থেকে ১০০ টাকা কম দামে কিনতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের যে বেতন তা দিয়ে গরুর মাংসের কথা চিন্তাও করতে পারিনা।
অপর ক্রেতা ইজিবাইক চালক মেহেদী হাসান রানা বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম কম দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে তাই ১ কেজি কিনলাম।দেখে খুব ভালো লাগছে যে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্য জায়গায় কিনতে গেলে ৭৫০ টাকা।
এ বিষয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক ও সাসস এর প্রতিষ্ঠাতা মফিজুল ইসলাম বলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ২নং গেটে রমজানের শুরু থেকে সাসস যশোর শাখার উদ্দ্যোগে একটি সুলভ মূল্যে বিক্রয়ের জন্য স্টাইল দিয়েছে। এতদিন ডিম-ডাবসহ কিছু জিনিস যেগুলো বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়। এই জিনিসগুলো এ সংগঠনটি মূল্যে বিক্রি করেছে। আজকে তারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে গরুর মাংসও কম মূল্যেও বিক্রি করা যায়। তাই তারা বাজার থেকে ১০০ টাকা কম মূল্যে বিক্রি করছে। উদ্দেশ্য হলো বাজারে যারা দ্রব্যমূল্য বিক্রয় করেন তারা যেন রমজানে কম মূল্য দ্রব্য বিষয়ে প্রতিযোগিতা করে।
জাগো/আরএইচএম