মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা

আরো পড়ুন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগের ভাগে নেমে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। প্রতিদিন তারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময়, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

উপজেলার হাট-বাজার গুলোতেও সম্ভাব্য এ সকল প্রার্থী নিয়ে বাচবিচার করছেন সাধারণ জনগণ। এক্ষেত্রে বর্তমানে চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য ছয়জন, ভাইস (পুরুষ) চারজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জনের নাম জোরে সোরে শোনা যাচ্ছে। তবে প্রার্থীদের বেশি সংখ্যক আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী হলেও জামায়াতের তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী প্রথম ধাপেই আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯শ’ ৭৯ জনের প্রতিনিধি কে কে হবেন এসব বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে সর্বমহলে। উপজেলা পরিষদে এ নির্বাচনে অনেকে আগামী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণও হবে এমনটা শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য এসকল প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক উপজেলা পরিষদ আমজাদ হোসেন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান এবং জামায়াত ইসলামের অন্যতম নেতা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক ফজলুল হক।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছাত্রনেতা সন্দ্বীপ ঘোষ, খেদাপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক, মনজুরুল হক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম এবং উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতা মাওলানা লিয়াকত হোসেন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, সুরাইয়া আক্তার ডেইজি, মাজেদা খাতুন, পাপিয়া জামান মিল্টন, আমেনা খাতুন এবং জামায়াতের মহিলা নেত্রী গুলবদন।

বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম। তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন বলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করে চলেছেন। এর আগে তিনি দু’বার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাজমা খানম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। আগামী নির্বাচনও তিনি অংশ গ্রহণ করবেন বলে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে দাবি করেছেন।

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু। তিনিও নির্বাচন করতে গণসংযোগ, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা ২০১৯ সালে প্রথম নির্বাচন করে বিজয়ী হন পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে। পরবর্তী ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হবেন এমন আশা নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রভাষক ফারুক হোসেন। তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনিও আলোচনার শীর্ষে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে একজন। এ লক্ষ্যে তিনি প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময়, সভা-সেমিনার অব্যাহত রেখেছেন। বসে নেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেনও। তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের সাথে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন সাবেক আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান খান। তিনিও মাঝে মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সাথে মতবিনিময়সহ গণসংযোগ করে চলেছেন। তবে জামায়াতে ইসলামের সাবেক শীর্ষ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক ফজলুল হকও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডাক্তার শরিফুল ইসলাম এবং উপজেলা জামায়াতের সুরাহ কর্মপরিষদের সদস্য আহসান হাবিব লিটন জানিয়েছেন, জামায়াত সাংগঠনিক ভাবে নির্বাচনে যাচ্ছেন না। তবে ব্যক্তি হিসেবে ফজলুল হক, লিয়াকত হোসেন এবং গুলবদন নির্বাচন করবেন বলে সম্ভাবনা রয়েছে। এ তিনজনের মধ্যে ফজলুল হক এবং গুলবদন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন প্রভাষক ফজলুল হক।

সবমিলিয়ে উপজেলা আসছে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সরব আলোচনা চলছে।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ