ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেদ্ধ চাল রফতানিতে ২০% শুল্ক বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই শুল্ক বহাল থাকবে।
এছাড়াও, ভারত পিঁয়াজ রফতানি আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাল রফতানিতে শুল্ক:
২০২3 সালের আগস্ট মাসে দেশের বাজারে সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রফতানির ওপর ২০% শুল্ক আরোপ করে ভারত। সেসময় জানানো হয়েছিল, চলতি বছরের মার্চ মাসের 31 তারিখ পর্যন্ত এই শুল্ক জারি থাকবে। তবে গতকাল বুধবার আবার জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগের শুল্কই বহাল থাকবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে চাল রফতানির বেলায় ২০% শুল্ক অনির্দিষ্টকালের জন্যই জারি থাকবে।
পিঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা:
31 মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মোদি সরকার। তবে সেই সময়কালও আরো বাড়ানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার তারা আবার পরিষ্কার করে জানিয়েছে, সেই সময় এগিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা তো নেই-ই। বরং নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।
ভারতের বাজারে সম্প্রতি পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে এমন কথা ছড়িয়ে পড়ায় তরতর করে বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যটির দাম। এর জেরে ভারতের বৃহত্তম পিঁয়াজ বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁওয়ের পাইকারি বাজারে মাত্র দুই দিনের মধ্যে পিঁয়াজের দাম 40% এর বেশি বেড়ে যায়। 17 ফেব্রুয়ারি প্রতি কুইন্টাল পিঁয়াজের দাম ছিল 1 হাজার 280 রুপি। 19 ফেব্রুয়ারি তা 1 হাজার 800 রুপিতে উঠে যায়।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ। চাল রফতানিতে শুল্ক বহাল রাখার ফলে বিশ্ববাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। পিঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাগো/আরএইচএম