বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা ও আন্ডার ইনভয়েজিং করে কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

আরো পড়ুন

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা ও আন্ডার ইনভয়েজিং করে সামুদ্রিক মাছ আমদানি করে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে ভারতে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোস্তফা কর্পোরেশন নামক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিকেজি মাছের দাম কম দেখিয়ে আমদানি করছে, যার ফলে সরকারের রাজস্ব হানি হচ্ছে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জিরো প্লাস নামক সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেছেন, মিথ্যা ঘোষণায় অতিরিক্ত মাছ আমদানি করলেই তা আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, মোস্তফা কর্পোরেশন প্রতিকেজি মাছের দাম ০.২০ ডলার দেখিয়ে আমদানি করছে, অথচ বাজারে এর দাম ০.৩০ থেকে ০.৫০ ডলার।
এই প্রতিষ্ঠান রুপালী ব্যাংক ঢাকার রমনা শাখায় আন্ডার ইনভয়েজিং করে এলসি খুলছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি, জিরো প্লাস নামক সিএন্ডএফ এজেন্ট ৯৩ হাজার ২৬২ কেজি মাছ আমদানি করে, যেখানেও প্রতিকেজি ০.২০ সেন্টে ঘোষণা দেওয়া হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৮ টন অতিরিক্ত মাছ আটক করে এবং ২১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে অন্যান্য আমদানিকারকরা প্রতিকেজি মাছ ০.৪০ থেকে ০.৫০ ডলারে এলসি করলেও জিরো প্লাস ০.২০ ডলারেই এলসি করছে। জিরো প্লাস নিজেও একজন আমদানিকারক এবং প্রতিকেজি মাছ ০.৩০ ডলারে এলসি করে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেছেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিতে তার কঠোর অবস্থান রয়েছে। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিআইসেল ও শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

জাগো/আরএইচএম

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ