বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের হামলা ও লুটের ঘটনায় কঠোর অবস্থানের কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অস্ত্র–পোশাকসহ তারা ঢুকবে, আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে, তা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। কোনোক্রমেই আইন ভঙ্গ করতে দেব না।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকে। এখানে এ রকম কোনো ঘটনা হবে, আমরা চিন্তা করিনি। হঠাৎ করে কেন ঘটল, তদন্ত করা হচ্ছে।”
অর্থ সংগ্রহের জন্য এই হামলা হয়েছে বলে সরকার মনে করছে। মন্ত্রী বলেন, “কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল—সবকিছু বের করা হবে। আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি।”
পরপর তিন দিন কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মন্ত্রী বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। তারা তাদের মতো করে কাজ করবে। আমরা এদের উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করব।”
ব্যাংকের টাকা লুট ও হামলার বিষয়ে আগাম কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা সরকার খতিয়ে দেখবে।”
মন্ত্রী রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্যদের খোঁজ নেন। এরপর পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখা পরিদর্শন করেন। এই শাখার ভল্ট ভেঙে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
মন্ত্রীর আগমন ঘিরে সকাল থেকে বান্দরবানের রুমা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সতর্ক পাহারায় থাকতে দেখা গেছে।
জাগো/আরএইচএম