নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ পিঠা। যুগযুগ ধরে অতিথি আপ্যায়নেও পিঠার জুড়ি নেই। গ্রামবাংলার এ রকম হরেক স্বাদ ও নকশার পিঠা নিয়ে যশোর উদীচী যশোর সংসদ কার্যালয় চত্বরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ‘নতুন ধান নতুন প্রাণ চলোশুনি পিঠার গান’ এই স্লোগানে শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির কার্যালয়ে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, ‘পিঠা বাঙালি সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ। একসময় বাঙালিদের যেকোন উৎসব ও আনন্দে মিশে থাকতো রকমারি পিঠা। কত রকমের যে পিঠা তৈরি করা হতো, বিশেষ করে পৌষসংক্রান্তির দিনে তার কোন ইয়াত্তা নেই। পাড়ায় পাড়ায় পিঠা উৎসব হতো। নগরায়ণের প্রভাবে অনেক কিছু দিয়েছে, তেমননি নগরায়ণের প্রভাবে অনেক কিছু বিলুপ্তির পথে। কোন অবস্থায় বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভুললে চলবে না। যেকোন মূল্য এসব টিকিয়ে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে বেশি করে পিঠা উৎসব আয়োজন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে এসব পিঠার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিতে হবে।’
উদীচী যশোর সংসদের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদৃষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, পিঠা উপৎসবের আহ্বায়ক আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে খেজুর গাছের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য খেজুর গাছী কাউসার গাজীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এর আগে সন্ধ্যা থেকে গ্রামীন বাংলার ঐতিহ্য পিঠা পুলির গান নিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কচি কাচাদের মনমুগ্ধকর নাচে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বাড়তি আমেজ সৃষ্টি করে গ্রামীন বাংলার বাহারিসব পিঠাপুলিতে।
জাগো/জেএইচ