বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
- ডিজি টেন ব্যাংক পিএলসি (১০টি বেসরকারি ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম)
- বিকাশ
- ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি
- নগদ
- এসিআই-এর কড়ি ডিজিটাল পিএলসি
- এসএমই ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশন লিমিটেড
- আমান গ্রুপের এমএফএস প্রতিষ্ঠান
- আরএফএল গ্রুপের এমএফএস প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তিনটা কমিটি মূল্যায়ন করেছে। আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকনোলজি, সিকিউরিটিসহ আরও কিছু বিষয় মিলে ১০০ স্কোর ধরে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে যারা ৬০’র বেশি স্কোর পেয়েছে তাদের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হলেও ইন্স্যুরেন্সের একটিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বাকি ৮টিকে এলওআই দেওয়া হয় যার মধ্যে ৩টি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের বাইরের।
তিনি বলেন, নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনও পূর্ণ লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্ত পূরণের পর তাদেরকে পূর্ণ লাইসেন্স দেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান একটি কার্যালয় থাকবে কিন্তু সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম-সিআরএম থাকবে না। এটি হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।
ডিজিটাল ব্যাংক চালু হলে দেশের আর্থিক খাতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এতে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়বে এবং লেনদেন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।