চৌগাছায় ভ্রাম্যমান আদালতে দুই ব্যবসায়ীর জরিমানা; বিপুল পরিমান কলা ও কলা পাকানো নিষিদ্ধ ওষুধ বিনষ্ট

আরো পড়ুন

যশোরের চৌগাছায় নিষিদ্ধ ওষুধ দিয়ে অপরিপক্ক কলা পাকানোর অভিযোগে এবং কলা পাকানোর ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবাসায়ীকে ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ওষুধ দিয়ে পাকানো অপরিপক্ক বিপুল পরিমান কলা ও কলা পাকানো নিষিদ্ধ ওষুধ বিনষ্ট করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস চৌগাছা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে শরিফুল ইসলাম নামে ওই কলা বিক্রেতা কলা পাকানোর ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। পরে আদালত ওই ঘর সিলগালা করে দেন। বৃহস্পতিবার কলা বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম গ্রামের ইউপি সদস্যসহ আদালতের প্রসিউিটর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিয়ামত আলীর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে সহকারী কমিশনার গুঞ্জন বিশ^াসের নেতৃত্বে ওই দোকান ঘরে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিপুল পরিমান অপরিপক্ক কলা নিষিদ্ধ ওষুধ দিয়ে পাকানো অবস্থায় এবং দুই লিটারের একটি বোতলে কলা পাকাতে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ লিকুইড ওষুধ পাওয়া যায়। পরে আদালতে ওই দোকানী অপরাধ স্বীকার করায় ৫০০টাকা জরিমানা এবং কলা বিনষ্ট করেন।

পরে শরিফুল ইসলাম যে কিটনাশকের দোকান থেকে এই ওষুধ ক্রয় করেন মিন্টু এন্টার প্রাইজ নামে সেই কিটনাশকের দোকানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। আদালতের অভিযানের সংবাদ পেয়ে দোকানে কর্মরতরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গেলে আদালত দোকানে তালাবদ্ধ করে দেন। কিছু সময় পরে দোকানী আদালতের প্রসিকিউটর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে সহকারী কমিশনার গুঞ্জন বিশ্বাসের নেতৃত্বে মিন্টু এন্টার প্রাইজে অভিযান পরিচালনা করা হলে সেখানে অপরিপক্ক কলাসহ বিভিন্ন ফল পাকানোর বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া যায়। দোকানী তার অপরাধ স্বীকার করলে আদালত নিষিদ্ধ ওষুধ বিনষ্ট করেন এবং দোকানী মিন্টু মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাগো/আরএইচএম

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ