ঈদের দিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া গ্রামে ঈদগাহ কমিটি গঠন ও নামাজ পড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষে দুই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতা। এক পক্ষে ছিলেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীক এবং অন্য পক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।
স্থানীয়দের ভাষ্য, গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঈদের দিন নামাজের পর বসে একটি নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সকালে মাংস কিনতে গিয়ে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরপরই গ্রামের ব্রিজের ওপর বাক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের লোকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে বাক্কার গ্রুপের যোয়াদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। আহতদের মধ্যে যোয়াদ মন্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
আহতদের দেখতে গিয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, “গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
জাগো/আরএইচএম