২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে সর্বোচ্চ ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং যশোর শিক্ষাবোর্ডে সর্বনিম্ন ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ পাসের হার দেখা গেছে।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফল প্রকাশ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। রবিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এইচএসসির ফলাফলের অনুলিপি এবং পরিসংখ্যান প্রতিবেদন তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ফলাফলে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তাছাড়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক নয়। পাসের হার কমেছে এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি অবকাঠামোগত সমস্যা, মানসম্মত শিক্ষার অভাব এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহের অভাবকে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত সমস্যা দূর করতে সরকার কাজ করছে। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।