টানা তিনদিনের ছুটিতে সাজেকে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটকের চাপে হিমশিম খাচ্ছে রিসোর্ট মালিকরা। ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি পর্যটক যাওয়ায় কটেজ-রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে থাকার জন্য রুম না পেয়ে ফেরত গেছেন। আবার অনেকে রুম না পেয়ে তাঁবু ও স্থানীয় গ্রামগুলোতে রাত কাটান।
সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, টানা বন্ধের সময়কে কেন্দ্র করে প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই সাজেকের হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং হয়ে যায়। এবারের টানা তিনদিনের বন্ধ শুরু হওয়ার পরপরই প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সাজেকে গেছেন। অনেকেই অ্যাডভান্স বুকিং না করেই সাজেকে গিয়েছেন, তাই রুম না পেয়ে কষ্ট করতে হয়েছে।
খাগড়াছড়ি-সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে জিপ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে প্রায় ২৫০ এর মত গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি প্রায় ১৫০ এর মত মোটরসাইকেলও ছিল। পর্যটকদের এই বাড়তি চাপের কারণে কিছু পর্যটক রুম পায়নি। রুম না পাওয়ায় কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরত চলে গিয়েছিল। যারা রুম পায়নি তারা ক্লাব, মন্দির এবং ত্রিপুরা পল্লীগুলোর বাসা-বাড়িতে ছিল। আজ (শুক্রবার) এখনো স্কট ছাড়েনি তাই কি পরিমাণ পর্যটক সাজেক ছাড়ছেন এবং কি পরিমাণ পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করবেন তা বলা যাচ্ছে না।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে। ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক আসলেই রুম না পাওয়া বা বাইরে থাকার মত সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে। যেহেতু সাজেকে মূল সমস্যা হচ্ছে পানির, তাই অতিরিক্ত পর্যটক আসলে পানির কারণেও অনেককে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্তমানে আমি বাঘাইহাটে আছি, আজও প্রচুর পরিমাণ পর্যটক সাজেক যাচ্ছেন দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সাজেকের সবকটি রিসোর্ট কটেজের অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু আছে। তাই পর্যটকরা অ্যাডভান্স বুকিং দিয়ে আসলেই ভালো, নতুবা সমস্যায় পড়তে হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে পর্যটকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে বিশেষ করে টানা বন্ধের দিনগুলোতে সাজেকে অ্যাডভান্স বুকিং দিয়ে আসার জন্য।
উল্লেখ্য, সাজেকে মোট ১১২টির মত রিসোর্ট কটেজ রয়েছে যেখানে তিন হাজারের মত পর্যটক থাকতে পারে। কিন্তু সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক সাজেক গিয়েছেন।