শার্শায় অপহরণের ৫ দিন পর মাগুরা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার 

আরো পড়ুন

মো. আবু সাঈদ শান্ত, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ

স্বর্ণেরবার আত্মসাতের অজুহাতে ডেকে নিয়ে অপহরণের স্বীকার হওয়া ওমর ফারুক ওরফে সুমন ( ২৬) নামের সেই যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের ৫ দিনের মাথায় অপহৃতের লাশ মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার বাগান থেকে উদ্ধার করে মাগুরা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটি বেনাপোল পোর্ট থানার অপহরণ মামলার ভিকিটিম ওমর ফারুকের। লাশটি বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অপহৃতের লাশ উদ্ধার হলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি এজাহার ভুক্ত আসামীরা। অপহরণ পরবর্তী ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকান্ড নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী ।

স্বর্ণকান্ডে নির্মম হত্যাকান্ডের স্বীকার ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানাধীন টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রং মিস্ত্রি।

অপহরণের ২দিন পর নিহতের মাতা মোছাঃ ফিরোজা বেগম বেনাপোল পোর্টথানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যাহার মামলা নং-১৫ ও তারিখ ১৪-১১-২০২৩ইং।

পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর (২০২৩ ইং তারিখ) দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রং এর পালসার যোগে পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে বাসা হতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি ফোন কলের মাধ্যমে ওমর ফারুকের পরিবারকে জানাই সে অপহরণ হয়েছে।

এরপর বৃহস্পতিবার (১৬নভেম্বর) সকালে মাগুরা জেলার আমখালীর রাস্তার পাশের নির্জন বাগানে মিললো সেই অপহৃত যুবকের লাশ। লাশ উদ্ধারের খবরে নিহতের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। এলাকাবাসীসহ স্বজনদের দাবি অপহরণ কারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক হত্যাকান্ডের নেপথ্যে থাকা রাঘব বোয়ালদের মুখোস উন্মোচন ও অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করার।

স্বর্ণকান্ডে সুমন অপহরণ ঘটনার পর থেকেই অপহরণ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা যায়, মূলত ৩ কোটি টাকা অধিক মূল্যের স্বর্ণের বার ছিনতাই ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই বহনকারী ওমর ফারুক সুমনকে বেনাপোল পোর্ট থানা হতে ২০০ গজ দূরের একটি তৃতীয় তলা ভবনের কক্ষে আটকিয়ে রাতভর মারধরসহ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

অপহরণকারীদের ইন্ধনের নেপথ্যে রাজনৈতিক দলের বড় নেতা রয়েছে বলে দাবি করেছে সূত্রটি যা প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তে বেরীয়ে আসবে। প্রশাসনের একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাটির সিজিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ