যশোরে আলোচিত সোলায়মান হত্যার ঘটনায় মামলা

আরো পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকার ট্রাভেলস কর্মী সোলায়মান হোসেনকে হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে মামলাটি করেন সোলাইমানের স্ত্রী আসমা খাতুন।
মামলার আসামিরা হলেন, টিবি ক্লিনিক মোড়ের মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি, চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার নিয়ামত ড্রাইভারের ছেলে আরাফাত, শংকরপুর মেডিকেল কলেজের সামনের হুজুরের ছেলে মেহেদী, টিবি ক্লিনিক মোড়ের জয়নালের ছেলে সুজন ও সিরাজুল। তবে এ মামলায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল মালেক।

মামলায় সোলাইমানের স্ত্রী উল্লেখ করেন, তার স্বামী কর্মস্থল থেকে চা খেতে এসেছিলো টিবি ক্লিনিক এলাকার পিযুষের চায়ের দোকানে। এসময় আসামিরা প্রকাশ্যে ওই এলাকার নজরুলের ছেলে জসিমকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করছিলো । যা দেখে প্রতিবাদ করে সোলাইমান। নিষেধ করায় সোলাইমানকে আসামিরা ধাওয়া করে। টিবি ক্লিনিক মোড় থেকে ষষ্টিতলা মোড়ে ধরে বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আব্দুল হকের ছেলে সোলাইমান হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, জখম জসিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত জসিমও একই অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে কোতোয়ালি থানার এএসআই টমাসের মাদকের অভিযানে জব্দ করা আলামত বিক্রি ও সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই জসিমের উপর হামলা চালিয়েছিলো আসামিরা। জসিম পুলিশের সোর্স বলে পরিচিত। শহিদুল ও শাহিন নামে দু’জনকে আটকের পর আলমত বিক্রি করা হয়েছিলো। যার ২০ হাজার টাকা ছিলো জসিমের কাছে। ওই টাকা ছিনিয়ে নেই আসামিরা। যদিও সেলাইমান হত্যাকান্ডে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে উঠেছে নানা গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়েও পুলিশের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে । যা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।

জাগো/জেএইচ 

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ