দীর্ঘদিন ধরে যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক হিসেবে পরিচিত মোকছেদ শফি শুক্রবার রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় নিজ বাসস্থানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।
ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘ কর্মজীবন:
১৯৭৭ সালে যশোর জেলা দলের ওয়াটার পোলো খেলোয়াড় হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের বিভিন্ন পদসহ নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে যশোরের অসংখ্য সফল ক্লাব গড়ে তুলেছেন।
সর্বশেষ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা:
যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকউজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ খান বিপ্লব, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এবিএম আখতারুজ্জামান, জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিবাস হালদার সহ অনেকেই তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
মোকছেদ শফি কেবল একজন ক্রীড়া সংগঠকই ছিলেন না, বরং যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন। তার মৃত্যুতে যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে একটি বড় শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
তার একমাত্র ছেলে সাজিদ হাসান পলাশ যশোর জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন।
জাগো/আরএইচএম