বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে রপ্তানি হয়েছে ১১৮টন ইলিশ মাছ। এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সন্তোষজনক জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ভারতে রপ্তানির কারণে ইলিশ সংকটের অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী শুক্রবার(২০ অক্টবার) শুরু হচ্ছে দূর্গাপূজা উৎসব। এ পূজা উৎসাবে পশ্চিম বাংলার মানুষ কাছে অত্যন্ত প্রিয় এপার বাংলার পদ্মার ইলিশ। তবে আমাদের দেশে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ২০১২ সালে থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে সরকার। ৬বছর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল। অবশেষে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বানিজ্য আর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতা ও মানবিক বিবেচনায় সরকার ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ করে দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে আবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে। এবছর ৩হাজার ৯৫০টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ভারতীয় ইলিশ আমদানিকারকেরা জানান, পূজার আগে এবারও বাংলাদেশী ইলিশ পেয়ে তাঁরা অনেক খুশি। পূজায় অতিথীদের অ্যাপায়ন করতে পারবেন তারা।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের মৎস ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকারের বিশেষ অনুমতির ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গত দুইদিনে দুইবারে ১১৮টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। দেশের ৭৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি শেষ করবে। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে ইলিশ রপ্তানির দোহাই দিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৬০০ টাকা দাম বাড়িয়েছে।
এ ঘটনায় পছন্দের মাছের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। বেনাপোল বাজারে ইয়াসিন হোসেন নামের একজন ক্রেতা জানান, গত কয়েক দিন যাবৎ বাজারে মাছ কিনতে আসার কথা তার। আজ বাজারে এসে দাম শুনে তার মাথায় হাত। সাধ্যের মধ্যে দাম না থাকায় পরিবারের জন্য মাছ না কিনেই যাচ্ছেন।
তিনি বলেন এবছরে ইলিশ মাছ কপালে জুটিনি। মাছের দাম যা শুনেছিলাম বাজারে এসে দেখি ৫-৬শ টাকা বেশি, তাই আর কেনা হলো না। বেনাপোল বাজারের ইলিশ বিক্রেতা জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে দেশে ইলিশ সংকট বেড়েছে। আড়ৎ থেকে চড়া দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে তাদের তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সে কারণে ৫শ গ্রামের ইলিশ ১২শ এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।