জাতীয় পর্যায়ে ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪ এ মনোনীত হয়েছেন যশোর সদর উপজেলার শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া

আরো পড়ুন

জাতীয় পর্যায়ে ইনোভেশন শোকেসিংএ ২০২৪ সফলতার সাথে অংশ গ্রহণ করে গৌরব অর্জন করেছেন যশোর সদর উপজেলা  শিক্ষিকা জনাব সুলতানা রাজিয়া।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক  আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিং মেলায় এ বছরই প্রথমবার  জাতীয় পর্যায়ে খুলনা বিভাগ থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আইডিয়া সফলতার সঙ্গে উপস্থাপন করেন যশোর সদর উপজেলা পাঁচবাড়িয়া বালিয়াডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জনাব সুলতানা রাজিয়া । তার আইডিয়ার শিরোনাম ” ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করি পাঠ সংশ্লিষ্ট বস্তুর আকৃতি তৈরি করি (বোর্ড কর্নার ও অরিগ্যামি কর্নার) ” যশোর জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে  তিনি বিভাগীয় পর্যায়েও প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর জাতীয় পর্যায়ের জন্য মনোনীত হন। তার এই ইনোভেশন শোকেসিং এর মূল উদ্দেশ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এর আলোকে পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্রিয়াশীলতা ও মনোবিজ্ঞানের বৃদ্ধির জন্য শিল্পকলা যা মানুষের সৃষ্টিশীল মনোভাব ও শিখনের  ক্ষেত্রের সাথে সম্পৃক্ত।

শিখনের ক্ষেত্রসমূহ:

১.ভাষা ও যোগাযোগ :

সৃজনশীল ও শৈল্পিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারা এবং পরমতসহিষ্ণুতার সঙ্গে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কার্যকর ও কল্যাণমুখী যোগাযোগে সমর্থ হওয়া। *শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা, সৃজনশীলতা, এবং বৈজ্ঞানিক মনোভাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

২. গণিত ও যুক্তি :

সংখ্যা ও প্রক্রিয়া (Operation), গণনা, জ্যামিতিক পরিমাপ এবং তথ্য বিষয়ক মৌলিক দক্ষতা অর্জন ও তা ব্যবহারের মাধ্যমে সৃজনশীলতার সঙ্গে গাণিতিক দক্ষতা প্রয়োগ করে যৌক্তিক, কল্যাণকর সমাধান ও সিদ্ধান্ত নিতে পারা এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারা।

৩. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি :

বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও পদ্ধতি ব্যবহার করে সৃজনশীল, যৌক্তিক ও কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে পারা এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শন ও বাস্তবায়ন করতে পারা। *শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা, সৃজনশীলতা, এবং বৈজ্ঞানিক মনোভাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

৪ ডিজিটাল প্রযুক্তি :

সক্ষমতা অর্জন করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বাস্তব সমস্যার অভিনব ডিজিটাল সমাধান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও বিস্তরণ; এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে পারা। *তথ্য অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ, যাচাই ও ব্যবস্থাপনা; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির।

৫.জীবন ও জীবিকা :

টেকসই প্রাক-কর্ম যোগ্যতা অর্জন করা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের মাধ্যমে দৈনন্দিন কর্ম-দক্ষতা অর্জন উৎপাদনমুখীতা প্রদর্শন করে নিজ জীবনে তার প্রয়োগ করতে পারা।**নিজেকে সৃজনশীল কর্মজগতের উপযোগী ও উপার্জনক্ষম করে গড়ে তুলতে পারা।

৬শিল্প ও সংস্কৃতি :

শিল্পকলার বিভিন্ন সৃজনশীল ধারা  চারু ও কারুকলা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো; সংবেদনশীলতা ও নান্দনিকতার বিকাশ। এবং নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে অন্য সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা এবং শিল্পকলাকে উপজীব্য করে কর্মমুখী ও আত্মনির্ভরশীল হতে উদ্বুদ্ধ হওয়া।

শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া বলেন জাতীয় পর্যায়ে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪, সারা বাংলাদেশ থেকে আগত শ্রেষ্ঠ ইনোভেটর হিসাবে খুলনা বিভাগ থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছেন। পরিচালক মহোদয় জনাব শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সনদ ও ক্রেস্ট  গ্রহণ করতে পেরে সে খুব আনন্দিত। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিভাগীয় উপপরিচালক জনাব মো: মোসলেম উদ্দিন মহোদয়, সহকারী পরিচালক  জনাব মোঃ  ফজলে রহমান, শিক্ষা অফিসার জনাব শেখ মোঃ নূরুল ইসলাম , জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, যশোর জনাব মোঃ আশরাফুল আলম মহোদয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব ইসমাইল হোসেন মহোদয়, সহকারী শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ গোলাম কিবরিয়া মহোদয়, প্রধান শিক্ষক জনাব রোকেয়া খাতুন,বিদ্যালয়ের সম্মানিত সভাপতি জনাব শামিমা খুতুন,  সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, অত্যন্ত সহযোগী মনোভাব হাসান আল মাহদি স্যার, বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ ও তার প্রাণ প্রিয় পেইজ হেল্পিং পেজের ফাউন্ডার এডমিন জনাব মোঃ মামুন অর রশীদ স্যার সহ পেজের সকল টিম মেম্বার গণের প্রতি। আর নেপথ্যে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছে যাদের দিনরাত পরিশ্রমে আজ তার এই সফলতা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। উদ্ভাবক শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া ২০১৪ সাল থেকে পাঁচবাড়িয়া বালিয়াডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন,তিনি ICT জেলা অ্যাম্বাসেডর হিসাবে শিক্ষক বাতায়নে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। তিনি Teachers Support Network(TSN) হিসাবে অনলাইনসংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা সমাধানের স্বেচ্ছাশ্রম হিসাবে সারা বাংলাদেশের শিক্ষকদের সহযোগিতা করে আসছেন।

জাগো/আর‌এইচ‌এম

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ