প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা নেয়। এর মধ্যে ১০ হাজারের মতো ক্লিনিক নির্মাণ করা হয় এবং ৪ হাজার ক্লিনিক চালু করা হয়। এক বছরের মধ্যেই এসব ক্লিনিক ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়ার ফলে দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ কমে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুনরায় চালু করা হয়। বর্তমানে সারা দেশে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ফলে কুষ্ঠ রোগের প্রকোপ কমে আসছে।
তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।