চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শেংফু দুই সপ্তাহ ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে। চীন সরকার লি শেংফুর উধাও হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ জানায়নি। এতে লি শেংফুর অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স চীন সরকারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, লি শেংফুর বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির তদন্ত চলছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকা তিনজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, লি-র বিরুদ্ধে তদন্ত সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন দুইজন ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত লি শেংফুর নেতৃত্বে থাকা চীনা সামরিক বাহিনীর ক্রয় সংক্রান্ত শাখার আরও ৮ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও তদন্তাধীন রয়েছেন।
গত মার্চে নিয়োগ পাওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শেংফু এবং আট কর্মকর্তার তদন্ত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাধর শৃঙ্খলা পরিদর্শন কমিশন পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, লি শেংফু চীনের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশটির একজন স্টেট কাউন্সেলর। ফলে চীনের সরকার কাঠামোতে বেশ প্রভাব রয়েছে তার। তবে দুই সপ্তাহ ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে তিনি। নির্ধারিত অনেক সভা ও বৈঠকে তাকে দেখা যায়নি। এর ফলে তার বর্তমান অবস্থা ও অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও বেইজিং এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য এখনও জানায়নি। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি লি শেংফুর বিষয়ে কিছু জানেন না। স্টেট কাউন্সিল এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। লি শেংফুর সঙ্গেও স্থানীয় সাংবাদিকরা যোগাযোগ করতে পারেননি।
শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, লি শেংফু তদন্তের অধীনে রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল চীনের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের বরাতে বলেছে, লি শেংফুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সপ্তাহে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।