হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তায় নতুন একটি ব্যবস্থা চালু করেছে। এ পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাসকি’। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের জন্য চেহারা, আঙুলের ছাপ বা পিন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। ফলে স্মার্টফোন চুরি হলে বা অন্য কেউ ব্যবহার করলেও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে থাকা তথ্য অন্যরা জানতে পারবে না।
কয়েক মাস ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের অ্যান্ড্রয়েড বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীদের ওপর পাসকি পদ্ধতির কার্যকারিতা পরখ করছিল। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য পাসকি পদ্ধতি চালু করা হলেও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা সব যন্ত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। তবে আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য এ পদ্ধতি কবে চালু করা হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
পাসকি পদ্ধতি শুধু হোয়াটসঅ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণে ব্যবহার করা যাবে। নতুন এ পদ্ধতি চালু হলে ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস বিভাগে ‘পাসকি’ নামের নতুন অপশন দেখা যাবে। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী আঙুলের ছাপ বা অন্যান্য শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই পাসকি পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। ফলে পরবর্তী সময়ে নিজের চেহারা, আঙুলের ছাপ বা নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে।
পাসকি পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর শনাক্তকরণ, যেমন আঙুলের ছাপ বা স্ক্রিন লক পিন মূলত ক্লাউডের মাধ্যমে সব যন্ত্রে সংযুক্ত থাকে। ক্রিপ্টোগ্রাফিক পাসকি ক্লাউডের মাধ্যমে সব যন্ত্রে খাপ খাওয়ানো (সিনক্রোনাইজ করা) যায়। ফলে আঙুলের ছাপ বা স্ক্রিন লক পিন ব্যবহার করে যন্ত্র আনলক এবং ওয়েবসাইট ও অ্যাপে সাইনইন করা যায়। এ পদ্ধতি তুলনামূলক নিরাপদ। কেননা, এর সাহায্যে ব্যবহারকারীর আঙুলের ছাপ বা অন্যান্য শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। ফলে দূর থেকে হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টের দখল নিতে পারেন না।