বরগুনার আলোচিত কিশোর সুজন হৃদয়কে প্রকাশে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ১২ কিশোরকে ১০ বছর এবং চার কিশোরকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে এই রায় ঘোষণা করেন বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিরা ন্যায় বিচার পায়নি বলে জানিয়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবাদীরা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদের দিন বিকেলে বরগুনা সদরের গোলবুনিয়া এলাকায় নদীর তীরে বেড়াতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে নোমান কাজী, ইউনুস কাজীসহ ২৮ জন মিলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে কিশোর সুজন হৃদয়কে। ওই দিনই এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনার পরের দিন ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন সুজন হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম। ছয় মাস তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর আদালতে কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ইউনুস কাজী, রানা আকন, ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার, সজীব, নাজমুল শিকদার, অন্তর, সিফাত ইসলাম, মোশারেফ, সাইফুল, রাব্বিকে ১০ বছর। সাগর গাজী, সজীব কাজী, ফাইজুল ইসলাম ও সাইদুলকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে সফিকুল ইসলাম ঘরামী, নাইম, রবিউল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১২ জনকে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর ও চার জনকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। আমরা এই রায়ে খুশি।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত সুজন হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ন্যায় বিচার পেয়েছি।’
এই মামলায় এখনো প্রাপ্তবয়স্ক ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়নি।