সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলাম প্রতারণার মাধ্যমে এক কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। এছাড়া অপর তিন আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণাভাবে আত্মসাৎ করেন।
আদালত রায়ে আসামি নাইমুলের পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অপর তিন আসামিকেও একই অভিযোগে পৃথক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামিরা প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থনীতিতে ক্ষতি সাধন করেছেন। তাদের এমন অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি প্রয়োজন।
মামলার বাদী সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে তিনি আশা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।
এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি আল আমিন উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।