সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের কারণে অন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন রপ্তানিকারকরা। কারণ সুগন্ধি চালের রপ্তানি বন্ধের কারণে দেশের কৃষি খাতকে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে করে কৃষি খাতের উন্নয়ন ও কৃষকদের আয় বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
এছাড়া বারবার সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করায় দেশীয় কোম্পানিগুলো রপ্তানি বাজার থেকে ছিটকে পড়ছে। ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ার কারণে লোকসানের মধ্যে পড়ছে তারা। পাশাপাশি বাংলাদেশের হাতে থাকা রপ্তানি বাজার চলে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের হাতে।
বাংলাদেশ গত বছর থেকে মার্কিন ডলারের সংকটে রয়েছে। সুগন্ধি চাল রপ্তানির মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলোর হাতে থাকা বর্তমান ক্রয়াদেশগুলোও নিষেধাজ্ঞার কারণে বাতিল হচ্ছে, সে ডলারও ফেরত দিতে হবে এখন।
সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের কারণ
বাংলাদেশ থেকে সব সময়ই চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে সরকারের অনুমতি নিয়ে শুধু সুগন্ধি চাল রপ্তানির করা যায়। সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার বলছে, দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত নীতিহীনতা। কারণ দেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে। সরকারের দাবি অনুযায়ী, দেশে চালের মজুত আছে ৪৫ লাখ টন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ৪০ লাখ টন চাল যথেষ্ট। তাহলে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের প্রয়োজন নেই।
সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের সমাধান
সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে সরকারের নীতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকারের উচিত চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্য পদক্ষেপ নেওয়া। যেমন, চালের মজুত নিয়ন্ত্রণ করা, চালের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা, চালের ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো ইত্যাদি।
এছাড়া সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রপ্তানিকারকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তাহলে তারা ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।