শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ৭০ থেকে কমে ৪ শতাংশ

আরো পড়ুন

সংকটাপন্ন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বেশ দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা। গত আগস্টের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার কমে এখন ৪ শতাংশে এসেছে। এর আগে জুলাইয়ে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতির ফলে এক বছর ধরে ধোঁকে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটি।

বৃহস্পতিবার আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগের এক বিবৃতিতে মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে দেশটিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এর আগে জুলাইতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ওই সময় খাদ্যপণ্য নয়, এমন পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতির হার ৫০.৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। এরপর ছয় মাস ধরেই ধীরে ধীরে কমছে।

গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতির হার ৬৯.৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। তখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯৪ শতাংশ।

২০২২ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক ঋণ শোধ করতে পারেনি এবং গভীর আর্থিক সংকটে পড়েছিল। তারপর শাসকদের বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। রাজাপক্ষে পরিবার ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। চরম আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা গত মার্চে আইএমএফের কাছ থেকে ২৯০ কোটি ডলারের ঋণ পায়। এরপর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। দেশটির অর্থনৈতিক চাপ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।

কারেন্সি সোয়াপ চুক্তির আওতায় নেয়া ২০ কোটি ডলার ঋণের আরো ১০ কোটি ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। গত বৃহস্পতিবার এ অর্থ সমন্বয় করা হয়েছে। এর আগে ২১ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫ কোটি ডলার ফেরত দেয় দেশটি।

সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার ১৫ কোটি ডলার ফেরত দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা বাকি ৫ কোটি ডলার যথাসময়ে ফেরত দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ