যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে যুদ্ধের আগুন: ইরান

আরো পড়ুন

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগুন যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান।

তুরস্ক সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সেরকম কিছু ঘটলে তার পুরো দায় আমেরিকা ও ইসরায়েলকেই নিতে হবে।

এ সময় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধে ‘অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে এই অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে ইরান।
বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তুরস্কব্যাপী ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশাল বিশাল বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

কাতার সফর শেষ করে তুরস্কে যাওয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করারও আহ্বান জানান।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলো তেহরানকে একথা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধ করার সামরিক সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

অন্যান্য দেশকে গাজা পরিস্থিতির ব্যাপারে নীরব থাকার যে আহ্বান ওয়াশিংটন জানিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে আমেরিকা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালনার জন্য তেল আবিবকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তার পক্ষে এ ধরনের আহ্বান জানানোর কোনো অধিকার নেই।

তিনি বলেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমেরিকা। কাজেই অপর পক্ষগুলোকে ধৈর্য ধরতে বলার জায়গায় আমেরিকা নেই।

সাক্ষাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল পক্ষকে কাজ করতে হবে। গাজার ওপর হামলা বন্ধ, এই উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার এবং সেখানে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর লক্ষ্যে আঙ্কারা কাজ করছে বলে তিনি দাবি করেন।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ