যশোরে সেচ প্রকল্পের সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অবৈধ সেচযন্ত্র স্থাপনের অভিযোগ

আরো পড়ুন

যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে সেচ প্রকল্পের সম্পাদক বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অবৈধ সেচযন্ত্র স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২০০৬ সালে ১৮ সদস্যের একটি সেচ প্রকল্প গঠন করে ১৬০ বিঘা জমি চাষাবাদ করা হচ্ছিল। প্রকল্পের সভাপতি ইজাহার আলী ও সম্পাদক বজলুর রহমান। জমিতে সেচের জন্য ২০০৬ সালে ইজাহার আলীর বৈধ ভোগদখলীয় জমিতে গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। পরে বজলুর রহমান গোপনে সমিতির নাম ব্যবহার না করে নিজের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে শালিসে বজলুর রহমান অঙ্গীকার করেন সমিতির সদস্যদের জমাকৃত ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা খরচ করে বিদ্যুৎ লাইনটি তার নিজের নামে করে নিয়েছেন এবং সমিতির নাম ব্যবহার না করে ভুল করেছেন। এরপর বজলুর রহমান সরকারি দপ্তরকে ম্যানেজ করে গভীর নলকুপটি অকেজো দেখিয়ে ভু-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৮ লঙ্ঘন করে কিছুটা দূরে (২০০ গজ দূরত্বে) গোপনে আর একটি গভীর নলকুপ স্থাপনের জন্য অনুমোদন নেন।

এদিকে, প্রকল্পের সভাপতি ইজাহার আলী ও এলাকাবাসী মূল গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচ কার্য পরিচালনা করছেন।

বজলুর রহমানের নলকুপকে অবৈধ ও বিধি বহির্ভূত দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে যৌথভাবে কৃষি কাজের সুবিধার্থে (সেচ প্রকল্পে) হাজী ইজাহার আলীর জমিতে (দাগ নং-এস এ- ১০৫, জরিপ ১৩৫ দাগ) একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। অদ্যাবধি ওই নলকুপের সভাপতি ইজাহার আলী ও সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান। কিন্তু ইজাহার আলীর জমির কাগজপত্র গোপন করে নিজের জমির কাগজপত্র পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিয়ে নিজ নামে বিদ্যুৎ লাইন পাওয়ার আবেদন করেছেন বজলুর রহমান। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মূল নলকুপটি অকেজো ও পরিত্যক্ত দেখিয়ে যে লাইসেন্স নিয়েছেন তা সবই সমিতির সকল সদস্যদের অজ্ঞাতে। মূল নলকুপ থেকে মাত্র ২শ’ গজের মধ্যে বজলুর রহমান একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করেছেন যা আইনত অবৈধ। লাইসেন্সটি বাতিলের জন্য উপজেলা সেচ কমিটির প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ইজাহার আলী জানিয়েছেন, বজলুর রহমানের কারণে এলাকার সাধারণ কৃষকরা আতংকে রয়েছেন। আসছে মৌসুমে ধান আবাদ করতে না পারার শঙ্কায় রয়েছেন। কাজেই ২০০৬ সালের মূল নলকুপটির লাইসেন্স প্রদান করতে হবে আর বজলুর তঞ্চকতাপূর্ণ লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বজলুর রহমান জানিয়েছেন, পুরোনো নলকুপটি অকেজো, পরিত্যক্ত ও পানি ওঠেনা। বালি কাঁদা মাটি ওঠে। কৃষকদের চাষে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে পাশে নতুন করে বোরিং করা হয়েছে তার নিজের জমিতে। প্রতারণার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বৈধভাবেই লাইসেন্স নিয়েছেন, কৃষকের সেচ কাজে ভূমিকা রাখতে চান।

সমাধানের পথ

এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পাশাপাশি ২০০৬ সালের মূল নলকুপটির লাইসেন্স প্রদান করা উচিত।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ