যশোরে লাইসেন্সহীন থ্রি হুইলার: সরকার বছরে দুই কোটি টাকা লোকসান

আরো পড়ুন

যশোর জেলায় লাইসেন্সহীন থ্রি হুইলার থেকে সরকার বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী, যশোরে লাইসেন্সধারী থ্রি হুইলার অটোরিকশার সংখ্যা মাত্র ৩২৯ টি। এর বিপরীতে লাইসেন্স ছাড়াই যশোরের বিভিন্ন সড়কে চলছে প্রায় এক হাজার অটোরিকশা।

লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশাগুলোকে আইনের আওতায় আনতে বিআরটিএ কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অবৈধ গাড়ি নিবন্ধন ও লাইসেন্স পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় না আসায় সরকার প্রতিবছর রাজস্ব হারাচ্ছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

একেকটি অটোরিকশার রেজিষ্ট্রেশন পেতে হলে ব্যাংকে জমা দিতে হয় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। লাইসেন্স হলে নম্বর পাওয়ার পরে রুট পারমিটের (সড়কে চলাচলের অনুমতি) জন্য জমা দিতে হয় ১ হাজার ৬০০ টাকা। এ ছাড়া লাইসেন্স করতে জমা দিতে হয় দুই হাজার টাকা, ট্যাক্স টোকেন বাবদ দিতে হয় ৪ হাজার টাকা, ইনস্যুরেন্স বাবদ দিতে হয় ৪৭০ টাকা। সবমিলিয়ে নবায়নসহ প্রতিটি গাড়িতে রাজস্ব দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৫৭০ টাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, বিআরটিএর হিসাবের বাইরে সদরসহ আট উপজেলা শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, বাঘারপাড়া, মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগরে রেজিষ্ট্রেশনহীন অটোরিকশা চলাচল করছে প্রায় ১ হাজার। সে ক্ষেত্রে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বিআরটিএ যশোর সার্কেলের সহকারী পরিচালক মাহাফুজুর রহমান বলেন, অনিবন্ধিত গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বন্ধ রয়েছে। তবে নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মিটিংও হয়েছে। আশা করি, নতুন রেজিস্ট্রেশন প্রদান প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, থ্রি হুইলারের রেজিস্ট্রেশনের দিয়ে বৈধতার অনুমতি দিলে অবৈধ যানচলাচল কমে যাবে। একই সাথে সড়ক দুর্ঘটনার হার কম হবে। পাশাপাশি যাত্রীরা মান সম্মত সেবা পাবে।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ