মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তিনি ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ দলের হয়ে নিয়মিত খেলছেন। রিয়াদ একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার হলেও তার ক্যারিয়ারে বেশ কিছু উত্থান-পতন ছিল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভালো পারফর্ম করতে না পারায় রিয়াদকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তবে রিয়াদ কখনো থেমে থাকেননি। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে নিজের খেলার মান উন্নত করেছেন। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পাওয়ার পর রিয়াদ তার সেরাটা দিয়েছেন। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তিনি অনবদ্য পারফর্ম করে আসছেন।
রিয়াদের বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সের পেছনে তার ছেলে রাইদের অবদানও রয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর পর রাইদ তার বাবা রিয়াদকে একটি ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছিলেন। ভিডিওতে রাইদ তার বাবাকে বলেছিলেন, “আমি জানি তুমি এই বিশ্বকাপটাকে স্পেশাল করে রাখতে চাও। আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। শুভকামনা, তুমি আমার গল্পের নায়ক।”
রিয়াদ বলেছেন, “রাইদের ভিডিওবার্তা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তার বার্তা আমাকে বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছে যে আমি এই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারব।”
রিয়াদের বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সের ফলে বাংলাদেশ দল কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। রিয়াদের ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং দলকে বেশ সাহায্য করেছে। রিয়াদ বিশ্বকাপে ২৬৪ রান করেছেন, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। তিনি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন।
রিয়াদের বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। এটা প্রমাণ করে যে রিয়াদ এখনও একজন দক্ষ ক্রিকেটার। রিয়াদের পারফরম্যান্স বাংলাদেশ দলের জন্য ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।