আজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।
মওলানা ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হবে। এ দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে।
ঢাকায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন
ঢাকায়ও মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ৭টায় মওলানা ভাসানী স্মৃতি জাদুঘরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯টায় মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
এছাড়াও, সারাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।