একের পর এক ককটেল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। র্যাব ও পুলিশের অভিযানে গত তিনদিনে বন্দর এলাকা থেকে ৬৬টি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
সবশেষ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ২৫টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছেন যশোর র্যাব-৬ এর সদস্যরা। পরিত্যক্ত অবস্থায় এ ককটেল বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর যশোর র্যাব-৬ সদস্যরা বন্দর এলাকার বাদল হোসেনের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১৮টি ককটেল বোমা উদ্ধার করে। এর একদিন পরই ৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের পৃথক স্থান থেকে পোর্ট থানা পুলিশ ২৩টি ককটেল বোমা উদ্ধার করে। গত ১ সেপ্টেম্বর বাদল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
র্যাব-৬ যশোরের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. হাবিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, বেনাপোল পোর্ট থানার বন্দর এলাকার বড়আঁচড়া গ্রামের একটি রাসায়নিকের গুদামের পাশে খালি জায়গায় বিপুল পরিমাণ ককটেল বোমা মজুত রয়েছে। পরে র্যাবের একটি আভিযানিক দল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে দুটি বালতি ভর্তি ২৫টি ককটেল বোমা উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত বিপুল ককটেল বোমা বড় ধরনের নাশকতার পূর্বপরিকল্পনায় মজুত করা হয়েছে। ককটেল বোমা মজুতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার ককটেল বোমাগুলো বেনাপোল পোর্ট থানায় জিডির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। ককটেল বোমাগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।এগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে।