শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭ ট্রাকে ২০১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও অর্ধেক মূল্যের বেশি ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করবে সরকার। দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নানান প্রতিবন্ধকতায় পেঁয়াজ আমদানি কমায় দিন দিন দাম বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে এবার দাম কমবে মনে করছেন বিক্রেতারা। গত বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। তখন পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছিল ৪০ টাকার মধ্যে।
এসব নিত্য পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের যোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৭ ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আসে বন্দরে। কাগজ পত্রের তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৫৫ টাকার মধ্যে। তবে সরকার অর্ধেকের কম দামে এ পেঁয়াজ তুলে দিবে নিম্ন আয়ের ফ্যামেলি কার্ডধারী মানুষের হাতে।
বেনাপোল বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বর্তমানে ৬৫ টাকা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে। সরকারি পেঁয়াজ আমদানিতে কমতে পারে দাম।
সরকারের ফ্যামিলী কার্ডধারী সাধারণ ক্রেতা ইব্রাহিম জানান, বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। দ্রব্য মূল্যের এই চড়া বাজারে সরকারিভাবে আমদানি পেঁয়াজ কম দামে কিনতে পারবো।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বন্দর থেকে পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দ্রুত যাতে টিসিবির পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।