এমইটির কার্ড জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন শুধুমাত্র অপরাধ ঢাকা দিতে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএমিটি মহাপরিচালক শহীদুল ইসলাম জানান, ডিবি পুলিশ গুলশান থানার দায়ের করা মামলা তদন্ত করার ফলে গতকাল ধরা পড়েছে ৩ জন অপরাধী। এর মধ্যে ২ জন অপরাধ ঢাকার জন্য লিঙ্গান্তরিত করেছে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে বিএমইটির সার্ভার জালিয়াতির যে ঘটনা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তা ছিল কার্ড জালিয়াতি, সার্ভার জালিয়াতি ছিল না বলে ডিজি জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএমিইটি থেকে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার শর্ত হচ্ছে কর্মসংস্থান ভিসা, বিএমইটির ৩ দিনের ট্রেনিংয়ের কার্ড,ব্যাংকের টাকা জমাদানের রসিদ, ইনস্যুরেন্স কার্ড পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুমোদনের পর স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়। বিএমিইটি বৈধ ভিসা না থাকলে কাউকে বিদেশে পাঠাতে পারে না। তবে কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে ভিসার বৈধতা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। কেননা ওইসব দেশের ভিসা অনলাইনে আপলোড করা থাকে না। এই সুযোগে প্রতারক চক্র অবৈধ ভিসা দেখিয়ে প্রতারণা করার জন্য নিজেরাই বিকল্প কার্ড তৈরি করে স্মার্ট কার্ড নিয়ে অবৈধ ভাবে বিদেশে লোক পাঠিয়ে দেয়। এই চক্রের ৩ জন আজ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএমইটির ডিজিটালাইজেসন অকড়াকড়ির ফলে সার্ভার জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। এই ধরনের কার্ড জালিয়াত চক্র কার্ড জালিয়াতি করে বিএমইটির সুনাম নষ্ট করছে।