এবার বড় শোডাউন যুবলীগ
ছাত্র সমাবেশে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। পরদিন শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) আরেকটি বড় আয়োজন। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন। এ উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বড় একটি সফল আয়োজনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরদিনের অনুষ্ঠানে মানসিকভাবে কিছুটা চাপ কম ছাত্রলীগের। তবে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ও আয়োজনকে ঘিরে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে অন্যান্য সংগঠনকে।
শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা যেমন উপস্থিত ছিলেন, একই সঙ্গে দাওয়াত পান সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। ফলে ছাত্রলীগের আয়োজনের উপস্থিতি স্পষ্ট তাদের চোখে প্রতিমান হয়েছে।
এবার শনিবারের আয়োজনে নিজেদের সক্ষমতা ও সামর্থ্যের স্বাক্ষর রাখা যেন অন্যান্য সংগঠনের জন্য সময়ের দাবি। সে হিসেবেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বড় শোডাউন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সারি এক নেতা জানান, শনিবারের আয়োজনে তাদের উপর চাপ কম। তবে কেন্দ্রীয়সহ অনেক নেতাকর্মীই এ আয়োজনে অংশ নেবেন।
ছাত্রলীগ এই নেতা বলেন, আমরা একটা বড় প্রোগ্রাম করলাম এবং সফল প্রোগ্রাম। পরদিন আরেকটা বড় প্রোগ্রাম। আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে। কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে আমাদের ওপর চাপটা অনেকটা কম।
জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বড় শোডাউন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যুবলীগ অবশ্যই একটি বড় সংগঠন। আয়োজনটাও বড়। আমাদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিও সে রকমই থাকবে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, তিনি আশা করছেন প্রায় তিন লাখ নেতাকর্মীর সমাগম পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে তারা ঘটাতে পারবেন।
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাই আমাদের সবার সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন। তাদের নির্দেশনায় যুবলীগ নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেবে। এবং আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে নিয়ে আসা পর্যন্ত রাজপথে থাকবে।
যুবলীগের পাশাপাশি ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ সমাবেশস্থলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।
সংগঠনটির সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর ও এর অন্তর্ভুক্ত সকল থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট, একই সঙ্গে ঢাকার আশপাশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিট থেকে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবে।
এক্ষেত্রে যুব মহিলা লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন যুব মহিলা লীগ চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, এরইমধ্যে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
এছাড়া কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজেদের সামর্থ্য তুলে ধরবেন।