গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে ইসির ধারণাপত্র অনুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে নির্বাচন অর্থবহ হয় এবং ওতে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে। প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলসমূহকে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করতে হয়। নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাকে আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরোপিত দায়িত্ব পালন করতে হয়। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটার সাধারণের অবাধ অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনি কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের আন্তরিক, পেশাদার ও পক্ষপাতহীন- নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন সম্ভব।
ইসি ধারণাপত্রে আরও বলেছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও কমিশনের বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের অনাস্থা কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। তবে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি এখনো হয়ে উঠনি। প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদের নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। বিষয়টি রাজনৈতিক। নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই।
এতে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে যতদূর সম্ভব স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করে উপস্থাপন করার কথাও বলা হয়েছে।
আগামী নভেম্বরে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরে শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে ইসি।