বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ব্যালট বাক্স প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব ব্যালট বাক্স নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক অফিসে পাঠানো হবে। আর জেলায় জেলায় যাবে দুই ধরনের ব্যাগ ও গালা।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ব্যালট বাক্স, ব্যাগ ও গালা পাঠানোর মধ্য দিয়ে নির্বাচনি উপকরণ পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, শুরুতে ঢাকা অঞ্চলে ব্যালট বাক্স পাঠানো হবে। প্রথম লটে ৪০ হাজার বাক্স পেয়েছি। মোট ৮০ হাজার বাক্স এবার কিনেছি। এর মধ্যে ৪০ হাজার সাপ্লাই পেয়েছি। এখান থেকে বিতরণ শুরু করছি।
ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটি কাজ শেষ করেই তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে ভোট গ্রহণের সম্ভব সূচি রাখা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সংঘাত-সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পরেও ১৫ দিন মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাখার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসি।
ইসির কর্মপরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো:
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটি কাজ শেষ করেই তফসিল ঘোষণা
ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে ভোট গ্রহণ
নির্বাচনের পর ১৫ দিন মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাখা
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই মাঠপর্যায়ে নির্বাচনি উপকরণ বিতরণ
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এক দিন পর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু
ভোট গ্রহণের ৮-৯ দিন আগে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনি সামগ্রী জেলা সদরে পাঠানো