লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্নায় তিস্তার চরের ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত (৩৫) আরও এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত সিকিমের বন্যার পানিতে পাঁচজনের মরদেহের মধ্যে চারজনের মরদেহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার চর সিন্দুর্না ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধানক্ষেত থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ দুই পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চওড়াটারী সীমান্তে দিয়ে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে সদর থানার ওসি ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে দিনহাটা পুলিশ ক্যম্পের ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র তামাংসহ বিএসএফ গিতলদাহ ক্যাম্পের অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা উপস্থিত ছিলেন। অপর দুটি মরদেহ একই দিন রাতে তিনবিঘা করিডোর দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রংপুরের গংগাচড়া ও নীলফামারীর চর খড়িবাড়ি এলাকা থেকে দুইজন এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছে তিস্তা নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সিকিমের বন্যায় ভারত থেকে তাদের মরদেহ তিস্তা নদী হয়ে বাংলাদেশে ভেসে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড চর সিন্দুর্নায় ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে এক কৃষক অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহ দেখতে পায়। পরে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ রাত ৯টার দিকে গিয়ে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি ভারতের নাগরিক।