ঝিনাইদহে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
আটক প্রতারকরা হলো মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার মাধবপুরের আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ রিকাবুল ইসলাম(২৮) ও চরমাধবপুরের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ উজ্জল হাসান।
পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত এই প্রতারক চক্র ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়-এর মাধ্যমে বয়স্কভাতা, ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি টাকা আসছে বা কাস্টমার কেয়ারের পরিচয় দিয়ে ওটিপি হ্যাকিং এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের ওসি শাহিন উদ্দীন জানান, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ঝিনাইদহ প্রতারণা সহ সাইবার অপরাধ দমনে সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ জনৈক শেখ মিলন সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে এসে জানান যে, অজ্ঞাত প্রতারক তার নিকট থেকে কৌশলে বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে প্রতারণা করে সর্বমোট এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সংক্রান্তে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৬ টি মোবাইল ফোন ও ১০ টি সিম কার্ড উদ্ধার করে ।
ওসি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে তাদের চক্রের সদস্যরা এজেন্টের দোকান হতে টাকা লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের নিকট ছবি পাঠিয়ে দেয়। উক্ত নাম্বারে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে গ্রাহকের নাম সংগ্রহ করে তাদেরকে কাস্টমার কেয়ার বা অন্য কোন পরিচয় দিয়ে ওটিপি হ্যাকিং ও ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য অগ্রীম টাকা প্রেরণের কথা বলে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছিল