বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি মানুষের জন্য ঝুঁকির মাত্রার অনেক নিচে রয়েছে। তবে গবেষণায় কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে ১০ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও তিনটি ভারী ধাতুর উপস্থিতি মিলেছে। তবে এসব অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা সর্বোচ্চ সহনশীল মাত্রার মধ্যে রয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে আর্সেনিকের মাত্রা সর্বোচ্চ সহনশীল মাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি। তবে এটিও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে বিএআরসি কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
• ব্রয়লার মুরগির খামারে ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার বন্ধ করা।
• ব্রয়লার মুরগিকে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার থেকে বিরত রাখা।
• ব্রয়লার মুরগির মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া।
বিএআরসির গবেষণা ফলাফল ব্রয়লার মুরগির মাংসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে গবেষণায় উল্লিখিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি অবলম্বন করা হলে ব্রয়লার মুরগির মাংসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিএআরসির গবেষণা ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “এই গবেষণা ফলাফল ব্রয়লার মুরগির মাংসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আমরা এই গবেষণার ফলাফলকে স্বাগত জানাই।”
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, “এই গবেষণা ফলাফল ব্রয়লার মুরগির মাংসের নিরাপত্তা সম্পর্কে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। তবে আমরা ব্রয়লার মুরগির খাবারে ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার বন্ধ এবং ব্রয়লার মুরগিকে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার থেকে বিরত রাখার উপর জোর দেই।”