যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুকে চাঁদাবাজ ও অবৈধ দখলদার হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার বিকেলে কেশবপুর পৌরসভার সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরাসহ কেশবপুরের তিন শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুর অপসারণের দাবি জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু প্রায়ই এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। তিনি জমি দখল ও অপকর্মের মাধ্যমে এলাকার মানুষের ভয়ভীতি সৃষ্টি করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, কাউন্সিলর বাবু পৌর শহরের মধুসড়কে আব্দুর করিমের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। আলতাপোল এলাকায় মেহেদি বিশ্বাসের জমি দখল করেছেন। গরুহাটার পাশে আব্দুল মজিদ বড় ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমি সীমানা দিতে গেলে তার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। মধুসড়কের শিউলি গার্মেন্টেসের মালিক নূর ইসলামের জমি সংক্রান্ত বিরোধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সাবষ্টিশনের সামনে হাবিবুর রহমান ও খোকনের জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে হাবিবুর রহমানের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেন। মধুসড়কের অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য শওকত হোসেনের প্লান ছাড়া ৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন। জমির বিরোধে শেখ মুনছুর আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামী একে আজাদ ইকতিয়ারের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন। এছাড়াও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্নাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
বক্তারা বলেন, এসব ঘটনায় ভয়ে অনেকেই মামলা না করলেও নাশকতাসহ তার বিরুদ্ধে কেশবপুর ও যশোর থানায় ৫ টি মামলা রয়েছে। গরু হাটের ইজারা নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে তার কথোপকথনের একটি অডিও ভাইরাল করেও তিনি আলোচিত হন।
মানববন্ধনে বক্তারা কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেন।