রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির নামে নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অবরোধের নামে রাজধানীসহ সারাদেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের আগেই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে রাজধানীর চার স্থানে চারটি বাসে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
অপরদিকে, অবরোধে ঢাকায় গণপরিবহন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। একইসঙ্গে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক গোলাম সামদানী বলেন, আগের মতই গাড়ি চলাচল করবে। অবরোধে কোনো গাড়ি বন্ধ থাকবে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবরোধের নামে নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি সদস্যরা যেকেনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের নামে কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা বা জনগণের জানমালের ক্ষতি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ফোর্সেসের ১৫টি ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারী কার্যক্রম চলমান থাকবে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।