বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী এস.এম সুলতান’র জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে যশোরে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে যশোর এস.এম সুলতান ফাইন আর্ট কলেজে এ অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শিল্পী এস.এম সুলতান এর প্রকৃতির ম্যাুরাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আবরাউল হাছান মজুমদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চিত্রা নদীর পাড়ে ঝাঁকড়া চুলের এক নিবিষ্ট মানব এঁকেই চলেছিলেন বাংলার গ্রামীণ জীবন, কৃষক, আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ এবং প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার অনন্ত সংগ্রাম।
চোখের পুরু লেন্সের চশমা হেলে পড়ছে, তবুও থামেনি তার হাত। সেই চোখে কী অদ্ভুত এক জ্যোতির ছাপ। সচরাচর আমরা দেখি কৃষকের রুগ্ন চেহারা, মেদহীন এক শীর্ণকায় প্রতিকৃতি, কৃশ। আর সেই পুরু লেন্সের মধ্য দিয়ে সে চোখ দেখে বলিষ্ঠ, পেশিবহুল কৃষকের ছবি। আঁকতে থাকেন বিদ্রোহ, চিরন্তন অন্নদাতার প্রকৃষ্ট ছবি।
জেলা প্রশাসক বলেন, চিত্রা নদীর তীর ঘেঁষা পৈতৃক ভিটে পুরুলিয়া গ্রাম ছেড়ে তিনি কখনো আলোচনায় আসতে চাননি, চাননি তাকে নিয়ে মাতামাতি হোক। আর তাই একটা সময় তাকে ঢাকায় আনার পর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় ফিরে গিয়েছিলে নিজের গ্রামেই। নিজের আপন জগতে বুঁদ হয়ে থাকতেন তিনি। কাটিয়েছেন এক অনন্য জীবন। তিনিই আমাদের এস এম সুলতান।
অনুষ্ঠানে এস.এম সুলতান ফাইন আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ শামীম ইকবলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দাতা সদস্য জাহিদ হাসান টুকুন, কার্যনির্বাহী সদস্য ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী লুৎফুন্নেসা।