মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ মন্তব্যটিকে চীনের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্লিঙ্কেনের ভাষণে তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে এ অঞ্চলের দেশগুলো তাদের নিজস্ব পথ ও অংশীদার স্বাধীনভাবে বেছে নেওয়ার অধিকার রাখে।
ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যটি চীনের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা। চীন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার আগ্রাসী নীতির মাধ্যমে অন্যান্য দেশকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যটি চীনের এই নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধের বার্তা।
ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এ মন্তব্যটি তাদেরকে এ অঞ্চলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করবে।
বুধবার এপেক সম্মেলনের ফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যটি এই বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।