বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থানের কারণে একটি বেঞ্চে ৩ ঘণ্টা পর এজলাসে ফিরেছেন দুই বিচারক।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল বিচারকাজ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই ঘটনা ঘটে।
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে দুই বিচারপতি আদালতের এজলাসে আসেন। এরপর মামলা শুনানির জন্য একটি আইটেম ডাকেন। আইটেমটি ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে। কিন্তু এ সময় কোনো পক্ষের আইনজীবীকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। দুই পক্ষের হট্টগোলের মধ্যে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন দুই বিচারপতি।
দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলের ফলে আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেইম-শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়। শুনানির পর তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রুলের নোটিশ রিটে উল্লিখিত তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।
তবে এক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা না। তিনি এখন লন্ডনে তাই তার ওই ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে। তবে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী আবেদনকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছে বলেছেন।